গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে যুবলীগের কমিটি দীর্ঘ ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেই দিচ্ছি করে পার করছে। বছর খানেক আগেও যেকোন প্রোগ্রামে যুবলীগের জয়জয়কার ছিল। যুবলীগের পদপ্রার্থীরা অনুষ্ঠানকে করে তুলতো উজ্জীবিত, তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। গাজীপুর মহানগর গঠিত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠিত হলেও ১০ বছরেও হয়নি ওয়ার্ড, থানা, মহানগর যুবলীগ কমিটি।বছর খানেক আগে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে সর্বশেষ যুবলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে যুবক মোস্তাক আহমেদের, এরপর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থীর ফরম তুলেন।
এখন হঠাৎ করেই আবার যুবলীগ ছেড়ে কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।এর আগে তাকে কখনও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি। হঠাৎ করে আলাদীনের চেরাগ পাওয়ার মত বনে গেলেন কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের গুরুত্ব পূর্ণপদ।
এমনকি এক যুগ ধরে যুবলীগ করা কর্মীরাও এখন যুবলীগ ছেড়ে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে ভিড়েছেন। যার প্রভাব দেখা গেছে সদ্য শেষ হওয়া সিটি নির্বাচনে। যুবলীগের ব্যনারে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় দেখা যায়নি তেমন কাউকে। ৫/৭ বছর যাবৎ কাশিমপুর থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থীর প্রচারণা করা রিপন সরকার থানা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েছেন, আরেক সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আতাউর রহমান ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানার যুবলীগ নেতারা কেউ কেউ যুবদল, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে ঢুকে গেছেন।
ছাত্রলীগ করার পর কেউ এখন আর যুবলীগে আসছেনা। চলে যাচ্ছে অন্য সংগঠনে। কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৃধা জুয়েল দুইধাপ প্রমোশন নিয়ে সরাসরি থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক হয়েছেন। ৪নং ওয়ার্ডের মাজহারুল, আমজাদ, আওলাদ, সোহেল, আশাদুলসহ শতাধিক নেতা যুবলীগ ছেড়ে মূলদলসহ অঙ্গসংগঠনে ঢুকে গেছেন। ৩নং ওয়ার্ডের ইমরান মোল্লা যুবলীগ ছেড়ে যোগ দিয়েছে যুবদলে। ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থীর ফরম ক্রয় করা আমজাদ হোসেন যোগ দিয়েছেন মৎজীবিলীগে।
এছাড়া যারা সক্রিয় ছিলেন তারা সবাই এখন নিষ্ক্রয় হয়ে গেছেন এভাবেই কাশিমপুর যুবলীগকে শূন্য করে সবাই ছুটছে অন্য সংগঠনে।