গাজিপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন ১নং ওয়ার্ডের পানিশাইল এলাকায় মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়ীতে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এডঃ আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি লটারীর মাধ্যমে দুটো কুপন উত্তোলনের মাধ্যমে দুজনকে নির্বাচন করেন।এ সময় আরো উপস্থিত গাজিপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আতাউল্লাহ মন্ডল, কাশিমপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর আসাদুজ্জামান তুলা,কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিম (রাফী) সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রীর উঠানো কূপনে শিবরামপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও পশ্চিম পানিশাইল জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা মোঃ হেফজুর রহমানের নাম উঠে।
মোশাররফ হোসেন মৃধা প্রতিবছর একজন ইমাম ও একজন মোয়াজ্জিনকে হজ্জে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। এর আগে তিনি ১০ জনকে ওমরা হজ্জে পাঠিয়েছেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধা ইমামদের জন্য যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবীদার। তার এই উদ্যোগকে বক্তারা সাধুবাদ জানান এবং আগামীতে এধারা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে তাঁর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।এসময় আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন মৃধা বলেন, আমার মা বাবা দুইজনই ইন্তেকাল করেছেন। আমার বাবা হজ্জ পালন করতে পারলেও আমার মা হজ্জ করতে পারেন নি। তাই আমার মায়ের জন্য আমি ১ নং ওয়ার্ডের ৫৩ টি মসজিদের খতিব ও মুয়াজ্জিনদেরকে আমার নিজস্ব অর্থায়নে ওমরা হজ্জে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় লটারির মাধ্যমে দুইজনকে নির্বাচন করা হয় এবং ইতিমধ্যে ১০জনকে পাঠানো হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদের খতিব ও মুয়াজ্জিনদের ওমরা হজ্জ করানো হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি নিজে হয়তো একদিন থাকবো না কিন্তু আমার এই ধারা সবসময় চলমান থাকবে। আমার মৃত্যুর পর আমার ছেলেরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পরিশেষে আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধার পিতা মাতা ও বড় বোন এই দুনিয়াতে নেই । পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে দুঃস্থদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।