গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) বিকেল পাঁচ ঘটিকার সময় মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ডের হাতিমারা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কাশিমপুরের সাবেক চেয়ারম্যান কলিমউদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, সম্প্রতি কীভাবে আমরা একটা নির্বাচন করেছি। ওই নির্বাচন আমাদের নৌকার বিরুদ্ধে ছিল না। আমাদের গাজীপুরের মানুষের মধ্যে একটা আদর্শ আছে। তারা সততা ও দক্ষতা দেখে এবং কাজের মূলায়ন করে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। যেমনিভাবে সততা ও কাজের মূল্যায়ন করে আমার মা জায়েদা খাতুনকে মেয়র হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন আপনারা। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি মাকে নিয়ে আপনাদের মধ্যে আবার আসব। আজ এসেছি জাতীয় শোক দিবস ও ২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মিলাদ মাহফিল ও দোয়া করতে।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন,খুনি মোস্তাক যখন গাজীপুর জনসভা ডেকেছিল তখন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা কোথায় ছিল। এখন অভিনয় করেন? ঐদিন মোস্তাক কিভাবে গাজীপুর এসেছিল এখন আসুক দেখি কিভাবে আসতে পারে? ১৯৭১ সালের ১৯শে মার্চের মহানায়ক দাবীদার তখন কোথায় ছিল। কেন মোস্তাককে প্রতিহত করেননি নতুন প্রজন্ম জানতে চায় সে যেন এগুলো ক্লিয়ার করেন নতুন প্রজন্মের কাছে এটা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। গাজীপুরবাসী আমাকে সম্মান করেছে আমি আপনাদের সুখে-দুখে পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আমি গাজীপুরের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কে কিছু ভাতা প্রদান করতাম সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে, চিন্তা করবেন না আমি আবারো চালু করে দেবো আপনারা সবাই আগের মতই ভাতাটা পেয়ে যাবেন।
একটি মিথ্যা দিয়ে আমাকে মেয়রের পদ থেকে ২২ মাস ধরে সরিয়ে রাখা হয়। এমনকি, আমার দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের পর আওয়ামী লীগের কিছু নামধারী আমাদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। আমাদের অনেককে নানান হুমকি-ধমকি, বহিষ্কার, শোকজ, হামলা-মামলা, এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্য কেড়ে নিয়ে অবর্ননীয় অত্যাচার করেছে। গাজীপুরের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার সঠিক জবাব দিয়েছেন। কিন্তু, আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই সামনে পথ চলতে চাই।
উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সায়মন সরকার। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন সরকার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মনতাজ উদ্দিন মন্ডল, মনপুরা পার্কের পরিচালক সাবেক মেম্বার নুরুল হক সাহেব। তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই হাজার মানুষের জনস্রোতকে সঠিক ও সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন। পরিশেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের করে উপস্থিত সকলের মাঝে খাবার বিতরন করেন।