দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে শেখ হাসিনা মনোনীত আওয়ামীলীগ প্রার্থী -নৌকা প্রতীকে ও একটিতে জাহাঙ্গীর আলম মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী – ট্রাক প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৪ গাজীপুর-১ আসনে( কালিয়াকৈর ও মহানগরের ১-১৮ নং ওয়ার্ড ) ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নৌকা প্রতীকের আওয়ামীলীগ প্রার্থী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনীত কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রাসেল। তার ভোট ৯২ হাজার ৭৮৮।
১৯৫ গাজীপুর-২ আসনে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম মনোনীত ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট।
গাজীপুর-৩ আসন থেকে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের আওয়ামীলীগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের রুমানা আলী টুসি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৭৪।
গাজীপুর-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের শেখহাসিনা মনোনীত প্রার্থী ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. আলম হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট।
গাজীপুর-৫ আসনে ৮২ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গির আলমের মদদপুষ্ট ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৩ ভোট।