1. admin@dainiktazakhobor.com : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গাজীপুরের কালিগঞ্জে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত -৫ ও আহত -১ পীরগাছায় ঈদে মিলাদুন্নাবী উদযাপন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সিধলায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশাল র‌্যালী অনুষ্ঠিত বীরগঞ্জে এক যুবক কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রেন্টু সাহার গোডাউনে পিটিয়ে হত্যা। চাঁপাইনববাগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন চাঁদলাই গোপাপাড়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭৯৩৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার। নরসিংদীতে মানবতার ডাক এর আয়োজনে কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বীরগঞ্জে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবারও নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা. চাঁপাইনববাগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার গাজীপুরে শাহ সুফি ফসি পাগলার মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর মল্লিকপুর ঘাট পার হতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে ।

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতাঃ-
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মহানন্দা পারের অনেক মানুষের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জেলেরা মাছ ধরে ও মাঝিরা নৌকা বেয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু মহানন্দা নদীর এই দুরবস্থায় পূর্বপুরুষের পেশা পরিবর্তন করে অনেকে ভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন। আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার সঙ্গে মিলে গেছে একসময়ের খরস্রোতা মহানন্দা নদীর বর্তমান চিত্র।

এই নদীর বুক দিয়ে এখন পায়ে হেঁটে ও মটরসাইকেল চালিয়ে পার হওয়া যাচ্ছে। অথচ একসময় নদীর এ পার থেকে ও পারে নৌকা দিয়ে পার করতে হতো বিভিন্ন জানবহন ও জনসাধারণের। সব সময় খেয়াঘাটের নৌকায় ভিড় লেগেই থাকত।

নদী তো সংকীর্ণ হয়েছেই। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নদীতে এখন হাঁটুপানিও নেই। দীর্ঘ চর পড়েছে নদীর এই পার থেকে ঐ পার। এক পাশ দিয়ে বয়ে চলা ১৫ ফুটের সামান্য খালের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এই সামান্য হাঁটুপানি পার হলেই নৌকা ছাড়ায় এ পার থেকে ও পারে যাওয়া যায়। মানুষ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বিভিন্ন জানবহন ও পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে।
নদীর কিছু কিছু জায়গায় পানি থাকলেও নদীতে জেগে উঠেছে বিশাল আকৃতির চর। প্রতিবছর এমন ছোটবড় কিছু চর জাগতে দেখা যায় মহানন্দা নদীতে। এবার চরের আকৃতি অন্য সময়ের থেকে বড়।

শিবগঞ্জ উপজেলার চককীত্তি ইউনিয়নের চকনরেন্দ্র গ্রাম হয়ে মহানন্দা নদী পার হলেই নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর পৌঁছানো যাচ্ছে পায়ে হেঁটেই।

জেলার উত্তর দিক থেকে ভোলাহাট উপজেলার শরীর পেঁচিয়ে গোমাস্তাপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে পূর্বে নাচোল উপজেলা ও পশ্চিমে শিবগঞ্জ উপজেলা হয়ে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পদ্মা নদীর মোহনায় মিলিত হয়েছে নদী মহানন্দা। নদীর তীরবর্তী এলাকা বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত না হলেও তীব্র ভাঙনের ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রমত্তা মহানন্দার করাল গ্রাস বহু বছর ধরে নিঃস্ব করেছে নদীপারের শত শত মানুষকে। ফলে নদীপারের মানুষকে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয় প্রত্যেক বর্ষা মৌসুমে।

নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি আর না ভাঙার বিষয়টিকে কিছু মানুষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। মহানন্দা পারের মানুষ নদীর বুকে কোথাও কোথাও ধান ,গম, ভুট্টা সহ অন্যান্য ফসলেরও আবাদ করেছে। কোথাও বা ধু-ধু বালুচর।

জেলার সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রাম চর অংশে গিয়ে দেখা যায়, নদীপারের কৃষকরা ছাগল-গরু নিয়ে এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করছে। বালু ও পলিমাটি জমে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। সেই সঙ্গে কমে যাচ্ছে পানিপ্রবাহ। মহানন্দার বুকে চর জাগছে একের পর এক ।

নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মহানন্দা পারের অনেক মানুষের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জেলেরা মাছ ধরে ও মাঝিরা নৌকা বেয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু মহানন্দার এই দুরবস্থায় পূর্বপুরুষের পেশা পরিবর্তন করে অনেকে ভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন।

জেলে শ্রী জয়কুমার ও শ্রী রতন। এই প্রতিবেদককে বলেন, বর্ষায় মহানন্দা নদী বিশাল আকৃতির হয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে যা চেনাই যায় না। যেহেতু পানি থাকে না। তাই মাছ ধরা বাদ দিয়ে দিন মজুরী করি। অপেক্ষায় আছি কবে নদীতে পানি আসবে। মাছ ধরব রাত জেগে।’

মল্লিকপুর ঘাট ইজারাদার আলহাজ্ব সাইফুদ্দিন বলেন, আমার বাড়ী চকনরেন্দ্র গ্রামে, মহানন্দা নদী এরকম কখনো দেখিনি, আগে নদীতে দশ থেকে পনেরোটি নৌকা চলাচল করত, মাঝিরা নৌকা চালিয়ে ও জেলেরা মাছ শিকার করে সংসার চালাত, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এখন অনেকই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমার দাবী মহানন্দা নদী পূর্ন খনন করে তার পূর্ণরুপে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীকট আবেদন জানাচ্ছি।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন বলেন, মহানন্দা নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় এই সময় এলে পানি শুকিয়ে যায়। পক্ষান্তরে বর্ষাকালে নদীভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। তাই খননের কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি আরো বলেন, মহানন্দা নদীতে যেন সারা বছর পানি থাকে সেজন্য আমরা রাবার ড্রাম স্থাপন করেছি আগামী জুন ২০২৪ ইং উদ্বোধন হবে বলে মনে করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক তাজা খবর
Theme Customized BY Shakil IT Park