রংপুরের পীরগাছায় পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মশিয়ার রহমান নামে এক উদ্যোক্তার প্রায় ৪০ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই উদ্যোক্তার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে তিনি জানিয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার সাতদরগা বাজারে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের সামনের একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের হরিচরণ গ্রামের মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন থেকে নিজেরসহ মানুষের পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সাতদরগা বাজারের দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের সামনে স্থানীয় একজনের ৬০ শতকের একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে সেখানে তিনি ৪০ মণের মত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করার জন্য মজুদ করে রেখেছিলেন। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে স্থানীয় একজন তাকে মোবাইলে জানায় যে অভিযুক্ত ফারুকসহ আরও কয়েকজন লোক তার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করছে। সে সময় তিনি রংপুর শহরে অবস্থান করায় ঘটনাস্থলে না আসলেও পরের দিন শনিবার (১৮ মে) সকালে পুকুরে গিয়ে দেখেন পুকুরের সমস্ত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পরে তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় আরাজী প্রতাবিষু গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
উদ্যোক্তা মশিয়ার রহমান বলেন, প্রথমে আমি যখন খবর পাই আমার পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হচ্ছে। তখন আমার বিশ্বাসই হয়নি। কেননা আমি তো কারো ক্ষতি করিনি। আমার ক্ষতি মানুষ কেন করবে। অবশ্যই এর পিছনে বড় কোন রহস্য আছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমি গরীব মানুষ। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই।
পীরগাছা থানার এএসআই শাহীন মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।