রংপুরের পীরগাছায় মোহসিনা খাতুন টুম্পা (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২৮ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কাশিম মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। টুম্পা ওই গ্রামের আল-আমিনের মেয়ে।
জানা যায়, টুম্পা স্থানীয় পাওটানাহাট ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনিতে পড়ত। শিশুকালে তার বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। বাবা-মা দুজনেই পরে বিয়ে করেছেন। টুম্পা তার দাদা-দাদীর কাছে বড় হচ্ছিল। তার বাবা দ্বিতীয় স্ত্রীসহ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন।
টুম্পার দাদী রাহিমা বেগম ঘটনার বর্ননায় বলেন, আমার নাতনী কিছু দিন ধরে মাথা ব্যথা ও পেট ব্যথায় ভূগছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার আগে টুম্পা আমার কাছে মাথায় তেল দিয়ে নিয়েছে। তেল দেওয়ার পর নাতনী আমাকে বলে আমি ঘুমাব, আমাকে ডাকিস না। আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে ঘরে গিয়ে দেখি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
টুম্পার দাদা-দাদী তাদের নাতনী অসুস্থতার কারনে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে মনে করলেও এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন টুম্পার আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করেছি। নারী পুলিশ ও স্থানীয় নারীদের সহায়তায় শালীনতার সাথে মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করেছি। আলামত জব্দ করেছি। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করেছি। মৃত্যুর বিষয়টি সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। ময়না তদন্ত পূর্বক পাশাপাশি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাততঃ ইউডি মামলা নিয়ে ময়না তদন্ত করবো। ময়না তদন্তের পর অন্য কোন বিষয় এর পিছনে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।