দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবারও নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা.
প্রতিরোধ করতে চায় এলাকার সচেতন মহলসহ ছাত্র-জনতা।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উপজেলার ঢেপানদী সহ বেশ কয়েকটি নদী খনন করা হয় এবং খননকৃত বালু সমুহ শর্ত সাপেক্ষে নির্ধারিত মেয়াদান্তে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। যাহা ইতোমধ্যে স্ব স্ব ইজাদার যথাযথ বাস্তবায়ন করলেও ব্যতিক্রম মোহনপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাশিপুর এবং পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুড়িটাকিয়া ভাতগাঁও ব্রিজ এবং আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন। বেশ কয়েক দফা পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর কর্তৃক লট বানিয়ে বালু ইজারা এবং অপসারণ করা হয়েছে।
ইংরেজি ২০২৩ সালে শেষ দফা আবারও ঢেপা নদীতে কাশিপুর হতে নখাপাড়া, স্লুইসগেট, ভোগডোমা পর্যন্ত ১২টি লট ২ মাস মেয়াদে নুরুজ্জামান, নুরল, সাজেদুর রহমান অন্তুু এবং এমএ খালেক সরকার ইজারা নিয়ে বালু অপসারণ করে নেন।কিন্তু কাশিপুর মৌজায় বালু ঘাট অবৈধভাবে তৎকালীন কতিপয় আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের পাতি নেতা, চৌধুরীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং মুল বালু খেকো ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীনের নেতৃত্বে ৫ জুলাই’২৪ পর্যন্ত দিবারাত্রি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
ফলে এলাকার সচেতন মানুষেরা প্রকাশ্য এ ধরনের লুটপাটের দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে লাঠিসোডা নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এক পর্যায় বালু ঘাটে চেয়ারম্যান প্রতিরোধকারীদের কে লাঠি চার্জ করতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করেন কিন্তু গ্রামপুলিশ জনগনকে লাঠি চার্জ না করায় চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীন ইউনিফর্ম পরিহিত গ্রাম পুলিশ উত্তম রায়কে জনতার সামনে বেদম মারপিট করেন।সংগত কারনে গ্রামপুলিশ, সকল ইউপি সদস্যরা তীব্র আন্দোলন শুরু করেন এবং ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করাসহ অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা হয়। সে সকল অভিযোগের তদন্ত চলছে মর্মে জানা গেছে।
অপর দিকে কুড়িটাকিয়া ভাতগাঁও ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে ৫ কি:মি: যাহা প্যাকেজ লট নম্বর ৩/২০২৩.
ইজারা মুল্য ভ্যাট আয়কর সহ ৪১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫০ টাকা ইজারাদার মুন্না ট্রেডার্স প্রোপাইটর তোফাজ্জল হোসেন। যিনি মাসের পর মাস ইজার শর্তভঙ্গ করে সমুদয় বালু উত্তোলন ও বিক্রি করেছেন।শর্তভঙ্গ করে সিংহভাগ টাকা বাকী রেখে কেবলমাত্র এই ইজারাদারকে বালু উত্তোলন করার সুযোগ দেয়ায় অন্যান্য ইজারাদারেরা প্রশাসনের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য বেশ কয়েবার তাগাদা দেওয়া সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ জানতে পেরে সম্প্রতি বকেয়া টাকা ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি।তবে আর কোন বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই, যদি কেউ বেআইনি ভাবে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর এবং বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সাথে আতাত করে তারা আবারও পরিত্যাক্ত অবৈধ বালু ঘাট সমুহ সচল করতে দিনরাত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং কুড়িটাকিয়া বালু ঘাটে রাস্তা মেরামত এবং আশ্রয়নের দক্ষিণ পাশের মাটি ২ দিন থেকে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কথিত ইজারাদার তোফাজ্জল হোসেন।এ ব্যপারে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং এসডিই, পাউবো দিনাজপুরসহ এডিসি জেনারেল দিনাজপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভুমি বীরগঞ্জের সাথে কথা হলে তারা জানান অবৈধ ভাবে কোন বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।