ঢাকাস্থ আশুলিয়া থানাধিন পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকার ফুড প্লানেট রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠক করছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ১০ মাস আগের একটি নাশকতার মামলায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে।
গত শনিবার (২৫ মে) সকালে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকার ফুড প্লানেট রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর থানার নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৩), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার আব্দুল মান্নান খানের ছেলে জলিল খান (৪৩), টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার বাদশা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২), বরিশালের মুলাদি থানার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৩৫), জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার নাজিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫১), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মো. মুসলীমের ছেলে সোহেল রানা (২৮), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), বগুড়া জেলার ধুনট থানার আব্দুল কাশেমের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে আব্দুল করিম (২৯), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মোহাম্মদ আলী মণ্ডলের ছেলে মোজাম্মেল হক (৪০), সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হাসান (৩৯), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৬০), মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল বাশার ওরফে মেগা (৪৩), নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার লুৎফর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান রিপন (৩৮), জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার শাহাজানের ছেলে নাহিদ হাসান (২৯), নীলফামারীর ডোমার থানার দারাজ উদ্দিনের ছেলে নুরুন নবী (৩৮), দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে মেরাজ হোসেন ওরফে মুরাদ (৩৪), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার মৃত ওমেদ আলীর ছেলে মো. সেলিম হোসেন (৪০), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার গুলজার রহমানের ছেলে ফিরোজ কবির (৩৫), বরিশাল জেলার বন্দর থানার আব্দুর রউফ হাওলাদারের সিদ্দিকুর রহমান (৩৮), যশোর চৌগাছা থানার মৃত আবু জাফরের ছেলে মো. আয়াতুল্লাহ (৩৬), বরিশাল সদরের চরকালামতি এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে জসিম উদ্দীন জোমাদ্দার (৪১), পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩২)। তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ওই রেস্টুরেন্টে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের আটককৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সড়কে মিছিল করে গাড়ি ভাঙচুরের খবরে উপস্থিত হয় পুলিশ। তখন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায় তারা।সেদিনের ওই ঘটনায় আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। পরদিন ১ আগস্ট আশুলিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের সেই ঘটনার সঙ্গেই জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে থানা পুলিশ।
এবিষয়র আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, গত বছরের নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।