রংপুর পীরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও আরেকটি ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক পদের দায়িত্ব স্থগিত করেছে রংপুর জেলা আওয়ামীলীগ। দায়িত্ব স্থগিত প্রাপ্তরা হচ্ছেন উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মো. রাসেল মিয়া, অপরজন একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর মৌখিক নির্দেশনায় রংপুর জেলা আওয়ামীলীগ ৯ নভেম্বর তারিখে ওই দুইজনের দায়িত্ব স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে। রংপুর জেলার আহ্বায়ক ও তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ওই পত্র মারফত জানা গেছে, উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৫৩ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই দুই নেতাকে চুড়ান্ত তদন্ত ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের পদের দায়িত্ব স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ সেটি ওই চিঠিতে উল্লেখ করা না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক নেতা বলেন, ওই দুই জনের মধ্যে একজন রাজাকারের সন্তান, আরেকজন পিস কমিটির সদস্যের সন্তান। এজন্য তাদের দায়িত্ব স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক রাসেল মিয়া বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত এব্যাপারে লিখিত কোন চিঠি পাননি। বিষয়টি শুনেছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, তিনি ইতিপূর্বেও ওই ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। তার বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকার ছিলেননা। এ ব্যাপারে তিনি জেলা নেতৃবৃন্দের নিকট কাগজপত্র দাখিল করেছেন। তার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল চিঠির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষনা করা হয়। যেখানে কৈকুড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক হিসেবে মো. রাসেল মিয়া এবং একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে আব্দুল লতিফ মিয়াকে সিলেকশন করা হয়।